ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জান্তা সেনাদের উপর চওড়া বিদ্রোহীরা 

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩

জান্তা সেনাদের উপর চওড়া বিদ্রোহীরা 
ফাইল ছবি। 

থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মায়ানমারের পূর্বাঞ্চলে নতুন এলাকায় লড়াই শুরু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় গণমাধ্যম ও থাই সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত ক্রসিংয়ে কয়েকদিন ধরে আটকে থাকা জান্তা সেনাদের ওপর বিদ্রোহী যোদ্ধারা আক্রমণ শুরু করলে আতঙ্কে স্থানীয় প্রায় ২০০ বেসামরিক বাসিন্দা সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যায়।

বিদ্রোহী যোদ্ধা ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা গত ১১ এপ্রিল সীমান্তবর্তী মায়াওয়াদ্দি অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্য শহর দখল করেছিল। সে সময়ই কিছু জান্তা সেনা সীমান্ত ক্রসিংয়ের একটি সেতুতে আশ্রয় নেয়।

থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের তিন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাত থেকে সেতুর কাছে বিস্ফোরণ ও ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। শনিবারেও এই গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।

থাই সম্প্রচার মাধ্যম এনবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে জানায়, বিদ্রোহীরা জান্তা সেনাদের ওপর চালানো হামলায় ৪০ মিলিমিটারের মেশিনগান ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া ড্রোন দিয়ে তারা জান্তা অবস্থানে ২০টি বোমা নিক্ষেপ করেছে।

এর আগে আনুমানিক ২০০ জান্তা সেনা মায়াওয়াদ্দিদের বিদ্রোহীদের সমন্বিত অভিযানে পিছু হটে সীমান্তবর্তী সেতুর আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেয়। তবে রয়টার্সের পক্ষে এনবিটির প্রতিবেদন নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মায়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এ ছাড়া বেশ কয়েকটি থাই গণমাধ্যম জানিয়েছে, গোলাগুলি শুরু হতে না হতেই আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে শুরু হরে।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি থাই সীমান্তবর্তী মায়ানমারের অঞ্চলের অস্থিরতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তার দেশ প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর কোনো প্রভাব আমরা দেখতে চাই না। আমরা আমাদের সীমানা ও আমাদের জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্রস্তুত।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত